
ঢাকা, ১৩ জুন ২০২৫: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। আজ ভোরে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, এবং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীরা নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের হামলার কারণ ও প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েল দাবি করেছে যে এই হামলা ছিল প্রতিরক্ষামূলক ও পূর্বসতর্কতামূলক। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। আমরা আমাদের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য।” হামলার পর ইসরায়েল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ইরান এই হামলাকে যুদ্ধ ঘোষণা বলে অভিহিত করেছে এবং কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, “ইসরায়েল তাদের এই নির্বোধ কর্মকাণ্ডের জন্য চরম মূল্য দেবে।” ইতোমধ্যে ইরান ১০০টি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে পাঠিয়েছে, যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে যে তারা বেশিরভাগ ড্রোন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই হামলার ফলে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “আমি ইরানকে চুক্তির জন্য ৬০ দিনের সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তা গ্রহণ করেনি। আজ তাদের জন্য দ্বিতীয় সুযোগ থাকতে পারে!”। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয় পক্ষকে সংযম ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
পরবর্তী পরিস্থিতি কী হতে পারে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়েছে। ইরান যদি পাল্টা আক্রমণ চালায়, তাহলে ইসরায়েল আরও বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে। ইতোমধ্যে তেল ও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সংঘাতের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নির্ভর করছে উভয় পক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। বিশ্ববাসী এখন অপেক্ষায় আছে—এই উত্তেজনা কি আরও বাড়বে, নাকি কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হবে?