
ঢাকা, ১০ জুন ২০২৫ | স্বাস্থ্য ডেস্ক
দেশজুড়ে তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হতে পারে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
হিটস্ট্রোক কী এবং কেন হয়?
হিটস্ট্রোক হলো শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার একটি অবস্থা, যা সাধারণত ১০৪°F (৪০°C) বা তার বেশি হলে ঘটে। এটি তখনই হয় যখন শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং ঘাম দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিটস্ট্রোকের প্রধান লক্ষণগুলো হলো— ১। প্রচণ্ড মাথাব্যথা ২। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ৩। ত্বক শুষ্ক ও লাল হয়ে যাওয়া ৪। শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস নেওয়া ৫। বিভ্রান্তি বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা করবেন
বিশেষজ্ঞরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন—
১। পর্যাপ্ত পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ২। সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন: দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোদে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। ৩। হালকা ও সুতির পোশাক পরুন: গরমে আরামদায়ক ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। ৪। শরীর ঠান্ডা রাখুন: সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় থাকুন বা ঠান্ডা পানিতে হাত-মুখ ধুয়ে নিন। ৫। সঠিক খাবার গ্রহণ করুন: গরমে বেশি তেল-চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং ফলমূল ও শাকসবজি বেশি খান।
হিটস্ট্রোক হলে কী করবেন?
১। আক্রান্ত ব্যক্তিকে শীতল স্থানে নিয়ে যান ২। ঠান্ডা পানি বা বরফ দিয়ে শরীর ঠান্ডা করুন ৩। পানি বা স্যালাইন পান করান (অজ্ঞান হলে নয়) ৩। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, “গরমে শিশু ও বৃদ্ধদের হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তাই তাদের পর্যাপ্ত পানি পান করানো ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।”
উপসংহার
তীব্র গরমে সতর্কতা ও সঠিক ব্যবস্থা নিলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চললে সুস্থ থাকা সহজ হবে।