
ঢাকা, ১৪ জুন ২০২৫: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, যখন ইরান আজ ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) নিশ্চিত করেছে যে ইরান থেকে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়েছে।
হামলার পটভূমি
ইরানের এই হামলা ইসরায়েলের সাম্প্রতিক “অপারেশন রাইজিং লায়ন” এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে, যেখানে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার উপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছিল। ইসরায়েল দাবি করেছে যে তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হামলাকে “ইরানের আগ্রাসনের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ” বলে অভিহিত করেছেন এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও, তেল আবিবসহ কয়েকটি শহরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখা গেছে5।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয়ই এই সংঘাতের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলাকে “অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি” বলে অভিহিত করেছেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
পরবর্তী পরিস্থিতি
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।