
ভবিষ্যতে কি হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেই বা জানে। কিন্তু বুদ্ধিমানরা সবসময় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই কাজ করেন। তাই তো কথায় আছে “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিয়ো না”।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য
প্রাচীনকালে মানুষ সোনার রুপার মুদ্রা ব্যবহার করতেন, যা এখন চিন্তা করতেও অবাক লাগে। তেমনি অনলাইনে টাকা আদান প্রদান সম্ভব তাও একটা সময় আমাদের কল্পনাতেও ছিল না। একটা সময় আসবে যখন আমরা কাগজের টাকা নয় বরং টাকা বলতে অনলাইনের সংখাকে বুঝবো।
ক্রিপ্টোকারেন্সি, ডিজিটাল লেনদেন, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা আমাদের কাগজের টাকা থেকে সরিয়ে অনলাইন টাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
কাগজের টাকার সুবিধা ও অসুবিধা
অনলাইন লেনদেনে চার্জ কেটে নেয়াটা খুবি সহজ এবং বার বার সেটা চলতে থাকে। যেমন ধরুন আপনি ৫০০ টাকা নিয়ে বের হলেন মুদি কিনলেন, ঔষধ কিনলেন, এখন টাকাটা অনলাইনে হলে টাকা উথাতে কাটত আবার অনলাইনে মূল্য দিতে গেলেও কাটত। কিন্তু অনলাইন টাকায় আবার নিরাপত্তা অনেক বেশি ডিজিটাল টাকায়।নগদে লেনদেন করলে সেই দেশের সরকারের জিডিপি-র ০.৫% খরচ করতে হয়। টাকা ছাপানো, ভারি গাড়ি বহনে আদান প্রদানে প্রচুর অর্থ ও জনবলের প্রয়োজন হয়।
ডিজিটাল টাকার সুবিধা
বিপরিতে তরুণরা অনলাইনে খরচ, টাকা পয়সা লেনদেনে বেশি সাচ্ছন্দবোধ করে কেননা তা অনেক সহজ ও ঝামেলাবিহীন। গনতান্ত্রিক দেশগুলো ডিজিটাল টাকাকেই বেশি পছন্দ করে কেননা টাকার উপর নজরদারি করা সহজ।
ডিজিটাল লেনদেনে বড় সমস্যা হচ্ছে সাইবার হামলা। হ্যাকাররা প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যায় ডিজিটাল টাকা হাতিয়ে নেয়ার।
বিশেষজ্ঞ মতামত
“দ্যা ইকোনোমিষ্ট”- এর সম্পাদক ম্যাথিউ ফাভাস ভবিষৎবাণী করেছেন ২০৩১ সালে বিশাল জনসংখ্যার মানুষ ডিজিটাল টাকা ব্যাবহারে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
ডিজিটাল কারেন্সির জন্য ভবিষ্যতে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তা নিয়ে বিশেশজ্ঞদের নানা মত। তবে এটি সত্য আমারা দিন দিন কাগজের টাকা থেকে মুখ সরিয়ে নিচ্ছি।